রুয়েটে বিভাগ চালু প্রকল্প
নিজেদের মতো করে খরচ হয়েছে বেচে যাওয়া টাকা
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটির তিন সদস্য তদন্ত করে এসব তথ্য পেয়েছেন।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একটি প্রকল্পে অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি বিভাগ চালুর প্রকল্পে বেচে যাওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়নি। এখনো প্রকল্পের হিসাব নম্বরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা জমা আছে।
গত দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটির তিন সদস্য তদন্ত করে এসব তথ্য পেয়েছেন। কমিটির সদস্যরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, প্রকল্পের টাকা বেচে গেলেও মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সব টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু টাকা অবশিষ্ট থেকে গেছে। এর মধ্যে কিছু টাকা নিজেদের মতো করে খরচ করা হয়েছে। এখনো অর্ধকোটি টাকা ব্যাংকে জমা আছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ চালুকরণের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত ও ল্যাবরেটরি সুবিধা সৃষ্টিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রুয়েটে গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু করার প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০০৯ সালের ১ জুলাই ২৬ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। মেয়াদ ছিল ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে তা বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ৩০ জুন করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে দায়িত্বপালন করেন মোট পাঁচজন। সর্বশেষ পিডি ছিলেন আবদুল আলীম। তিনি পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক। প্রকল্প চলাকালে তিনি রুয়েটের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ছিলেন। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট আবদুল আলীম প্রকল্প শেষ হয়েছে বলে ইউজিসিতে প্রতিবেদন পাঠান। এতে তিনি প্রকল্পের বরাদ্দের ২৬ কোটি ১১ লাখ টাকার সবই ব্যয় হয়েছে বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে আবদুল আলীম বলেন, তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে বলবে। তবে তহবিল তছরুপের কথা বললে তা সঠিক নয়।
ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, সরকারি সংস্থার মাধ্যমেই রুয়েটের একটি বিভাগ খোলার প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে জানতে পারে ইউজিসি। গত ২০ এপ্রিল ইউজিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। সেদিন ইউজিসির সচিব, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ফেরদৌস জামান এবং দুই উপপরিচালক রোকসানা লায়লা ও আবদুল আলীমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ তিন কর্মকর্তা গত রোববার ও গতকাল সোমবার রুয়েটে অবস্থান করেন।
ফেরদৌস জামান বলেন, তদন্তে পেয়েছেন রূপালী ব্যাংকের রুয়েট শাখায় প্রকল্পের হিসাব নম্বরে এখনো ৫৩ লাখ টাকার মতো জমা আছে।