দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা
নিজ টাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে তিনটি সাঁকো তৈরি
মানুষের দুর্ভোগ কমাতে একদল যুবক সাঁকোগুলো তৈরি করেছেন। এতে ৩০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
বর্ষায় এলাকার মানুষের চলাচলের প্রধান সড়কের বেশ কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। তখন সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। মানুষ ওই অংশটুকু পারাপার হয় নৌকায়। যাদের নৌকা নেই, তারা কখনো কোমর আবার কখনো হাঁটুসমান পানি ভেঙে যাতায়াত করে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি।
মানুষের এই দুর্ভোগ আর ভোগান্তি মেটাতে একদল যুবক নিজেরা টানা দুই দিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে সেখানে তিনটি সাঁকো তৈরি করেছেন। যুবকদের এই কাজে খুশি এলাকার মানুষ।
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলাবাজার-বীরগাঁও সড়কের পূর্ব বীরগাঁও গ্রামের পাশে এই সাঁকোগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সাঁকো নির্মাণ করতে গ্রামের যুবকেরা টানা দুই দিন কাজ করেন। গতকাল রোববার বিকেলে কাজ শেষ হয়। সাঁকো তিনটির দৈর্ঘ্য হবে তিন শ মিটারের মতো। এর মধ্যে একটি মূল সড়কে, অন্য দুটি গ্রাম থেকে মূল সড়কে যাতায়াতের সংযোগ সড়কে তৈরি করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা।
স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা পূর্ব বীরগাঁও গ্রামের যুবক শহীদনূর আহমদ বলেন, সড়কের এই অংশটুকু কাঁচা। বর্ষা হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। এতে এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। আবার সাঁকো তৈরি করতে টাকা লাগবে। এ কারণে উদ্যোগ নিতে চায় না অনেকেই। তাই তাঁরা কয়েকজন যুবক মিলে উদ্যোগ নেন সাঁকো নির্মাণের। বাঁশ ও তার কেনার জন্য নিজেরা চাঁদা দেন। গ্রামের দু-একজন প্রবাসী যুবকও চাঁদা দেন।
যুবকেরা জানান, এই সড়ক দিয়ে দুটি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে উপজেলা, জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায়। যে স্থানে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে, সেটুকু নিচু ও কাঁচা। বর্ষাকালে পানিতে তলিয়ে যায়। আবার পানি না থাকলেও বৃষ্টিতে কাদা জমে থাকে। এখানে মাটি ফেলা হলেও হাওরের ঢেউয়ে টেকে না।
গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, বর্ষায় এখানে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষের চলাচলে সমস্যা হয়। এবার গ্রামের যুবকেরা মিলে নিজেরা দুই দিন কাজ করে এখানে তিনটি সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন। তাঁদের এই কাজ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।