সিলেট নগরের পাঁচ এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা না নিয়েই নালার নির্মাণকাজ চলছে। হাওলাদারপাড়া এলাকায় গত শনিবার
ছবি: প্রথম আলো

সিলেট নগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদারপাড়া ও করেরপাড়া এলাকায় নালা নির্মাণ ও প্রশস্তকরণের জন্য একযোগে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। কয়েক সপ্তাহ আগে এ কাজ শুরু হয়েছে। খুঁড়ে তোলা মাটি ও পিচ-পাথরের খণ্ড মূল সড়কের ওপর স্তূপ করে রাখা হয়েছে। গর্তের চারপাশে নেই কোনো নিরাপত্তাবলয়। অথচ সড়ক দিয়ে পথচারীর পাশাপাশি দেদারসে চলছে তিন চাকার যানবাহন। এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, হাওলাদারপাড়া ও করেরপাড়া এলাকা ছাড়াও উপশহর, ইলেকট্রিক সাপ্লাই ও কাজীটুলা উঁচাসড়ক এলাকায় নালা নির্মাণ ও প্রশস্তকরণের জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে কাজ চলছে। ঝুঁকি এড়াতে কোনো এলাকায়ই নেই নিরাপত্তাবেষ্টনী।

করেরপাড়া এলাকার সুমিত রায় বলেন, পাড়ার শিশু-কিশোরেরা প্রায়ই ঘরের বাইরে যায়। এতে তাঁরা আতঙ্কে থাকেন। এ ছাড়া রাতের বেলা অন্ধকারে তাঁদের (পথচারীদের) আতঙ্ক নিয়ে পথ চলতে হয়। স্তূপাকারে সড়কে মাটি রাখায় বিশেষ করে মোটরসাইকেলচালকেরা একটু এদিক-সেদিক করলেই স্লিপ কেটে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অরক্ষিত থাকায় বিশেষ করে রাতের বেলা প্রায়ই নির্মাণাধীন নালায় পড়ে অনেকে আহত হচ্ছেন। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এসব জানা সত্ত্বেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। এখনো অরক্ষিত অবস্থায় নালা নির্মাণ ও প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে নালা নির্মাণের দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা তা করছেন না।

হাওলাদারপাড়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, খোঁড়াখুঁড়ি করে মাটি সড়কে ফেলে রাখায় চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে গেছে। খুঁড়ে রাখা মাটি সরিয়ে নিয়ে কাজ করা উচিত।

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, নগরের প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নালা-নর্দমা নির্মাণ ও প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতে ঠিকাদারদের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও ঠিকাদারেরা তা অনুসরণ করেন না।