নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ, স্বামী পলাতক

জামালপুর জেলার মানচিত্র

জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া এলাকায় স্বামীর নির্যাতনে শারমিন বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আজ বুধবার সকালে গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী পলাতক।

নিহত গৃহবধূ শারমিন বেগম কেন্দুয়া এলাকার মো. শাহিন মিয়ার স্ত্রী। শাহিন পেশায় রাজমিস্ত্রি। এই দম্পতির দুই সন্তান। সম্প্রতি শারমিন তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বলে সন্দেহ করেন। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ চলছিল।

শারমিনের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বাবা রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। অনেক কষ্টে তাঁর বাবা ১০ বছর আগে বোনকে শাহিনের সঙ্গে বিয়ে দেন। তাঁর বোনের এক বছর বয়সী ছেলেসহ দুটি সন্তান আছে। হঠাৎ করে তাঁর দুলাভাই শাহিন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন খবর পান তাঁর বোন। এই নিয়ে শাহিন মারধর করেন শারমিনকে এবং তাঁকে পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ান। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাঁদের জানানো হয়নি। অবস্থা গুরুতর হলে তাঁর বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান শাহিন। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে পলাতক মো. শাহিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওসব অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। বিয়ের সন্দেহ নিয়ে তাঁর স্ত্রী সব সময় ঝগড়া করতেন। ঝগড়ার জের ধরেই তাঁর স্ত্রী নিজেই বিষ খেয়েছেন। তিনি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করেছেন এবং চিকিৎসার জন্য টাকাও দিয়েছেন। মৃত্যুর পর আর তিনি হাসপাতালে যাননি।

জামালপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ ব্যানার্জি বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছেন ওই গৃহবধূ বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। লাশটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক বলে শুনেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।