নেত্রকোনায় করোনা শনাক্ত ৪ হাজার ছাড়াল
নেত্রকোনায় করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৫ জন সংক্রমিত হওয়ার মধ্য দিয়ে রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ২১ জনে পৌঁছেছে। এ সময়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০১। আজ রোববার সকালে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সেলিম মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৭। নতুন শনাক্ত হওয়া ৬৫ জনের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৩ জন, পূর্বধলা ও মদনে ২ জন করে, বারহাট্টায় ৫ জন, আটপাড়ায় ৩ জন, কেন্দুয়ায় ৬ জন, দুর্গাপুরে ১২ জন, মোহনগঞ্জ ও কলমাকান্দায় একজন করে রয়েছেন।
গত বছরের ১০ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনায় দুজন আক্রান্ত হন। এক বছরের ব্যবধানে গত ১৯ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২-এ দাঁড়ায়। প্রায় তিন মাসের ব্যবধানেই গত ১১ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ৯০ জনে। নমুনা পরীক্ষা হয় ২০ হাজার ২৪১টি। মৃত্যু হয় ৩৭ জনের।
এদিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকায় নেত্রকোনায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ শয্যা নেই। হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে শুধু রাখা আছে ৩৬টি শয্যা, কয়েকটি পালস অক্সিমিটার আর ১৯টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। ফলে করোনায় জরুরি রোগীদের ময়মনসিংহ বা ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় ৯৭ শতাংশ রোগীই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘তিন মাস ধরে জেলায় করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। আক্রান্ত সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। তবে জটিল রোগী হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসব প্রয়োজনীয় বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’