নোয়াখালীতে আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবকে অব্যাহতি, শিক্ষককে জরিমানা

আদালত
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা সহজ করে নেওয়ার প্রস্তাব এবং কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে কেন্দ্রসচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মোসা এই আদেশ দেন।

আজ শুক্রবার সকালে ইউএনওর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, চাটখিল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন সভায় পরীক্ষার সহজ করে নেওয়ার কথা বলে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার কথা জানান, যা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের অন্তরায়। এ ছাড়া গতকাল পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মফিজুল ইসলাম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

এ পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব থেকে মফিজুল ইসলামকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মল্লিকা দীঘিরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল মান্নানকে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, করোনায় দীর্ঘসময় পাঠদান বন্ধ থাকায় পরীক্ষাসংক্রান্ত বৈঠকে পরীক্ষা সহজভাবে নেওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। সেটির অর্থ এই নয়, পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রের ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেন্দ্রে অবস্থানকালে স্মার্টফোন ব্যবহার করছিলেন। পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তির স্মার্টফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই। এ কারণে তিনি ওই কর্মকর্তাকে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। তখন অশোভন আচরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষককে জরিমানা

এদিকে চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করে দেওয়ার অভিযোগে প্রশান্ত কুমার নামের এক শিক্ষককে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল ইউএনও এ এস এম মোসা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষা চলাকালে প্রশান্ত কুমার একজন পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করে দিচ্ছিলেন। এ সময় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই শিক্ষককে আট হাজার টাকা জরিমানা ও পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।