নোয়াখালীতে করোনা ও উপসর্গে আরও ১০ জনের মৃত্যু
নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের ১২০ শয্যা কোভিড-১৯ হাসপাতালেই মারা গেছেন সাতজন। দুজন মারা গেছেন বাড়িতে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার জেলায় নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৬৪ জন। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে ৫৫ জন সদর উপজেলার বাসিন্দা। আর বাকিদের মধ্যে সুবর্ণচরে ২ জন, বেগমগঞ্জে ৩৪, সোনাইমুড়ীতে ৬, সেনবাগে ১৩, কোম্পানীগঞ্জে ২৮ ও কবিরহাটে ২৬ জন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও কোভিড-১৯ হাসপাতাল থেকে আজ শনিবার সকালে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার থেকে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত হাসপাতালে করোনা শনাক্ত হওয়া এবং করোনার উপসর্গ (শ্বাসকষ্ট) নিয়ে চিকিৎসাধীন সাতজন রোগী মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আর অপর তিনজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়নি।
করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নোয়াখালী সদর উপজেলার শান্তিনগরের নুর নবী (৬২), পূর্ব কৃপালপুরের মো. শাহাব উদ্দিন (৬০), সোনাইমুড়ীর সাতরা গ্রামের আমিন উল্যাহ (৬৭), বেগমগঞ্জের আলীপুরের আবু ইউছুফ (৬০)। শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুরের আহমেদ হোসেন খান (৬৯), চাটখিলের শ্রীপুরের জসিম উদ্দিন (৬৫) ও লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মনোয়ারা বেগম (৭৫)।
কোভিড-১৯ হাসপাতালের সমন্বয়ক ও চিকিৎসক নিরুপম দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ সকালে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ৬২ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ৫৩ জন। আর বাকিরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জেলায় করোনায় মারা যাওয়া বাকি ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন বেগমগঞ্জের দুর্গাপুরের আবুল কাশেম (৭৪)। তিনি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। আর বাড়িতে মারা যান কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুরের আবদুল করিম (৬০) ও চাটখিলের সাহাপুরের মাঈন উদ্দিন (৫৯)। এ নিয়ে কার্যালয়টির হিসাব অনুযায়ী জেলায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৪।
এদিকে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানিয়েছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০৬টি মামলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।