নোয়াখালীতে কলেজছাত্রসহ দুজনকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় রেস্তোরাঁ থেকে বান্ধবীসহ এক কলেজছাত্রকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে উদ্ধার করে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার চাটখিল বাজারের সিএনজিস্ট্যান্ডে এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের আশিক মুহুরী বাড়ির নুরুল ইসলাম (৩৮), একই গ্রামের বাসিন্দা ও অটোরিকশার লাইনম্যান মো. শিপন (১৯) এবং একই এলাকার বাসিন্দা হাজী কলোনির কেয়ারটেকার মো. স্বপন (২০)।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণ আবুল বাশার তারেক (২২) চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে তাঁর এক বান্ধবীকে (১৮) নিয়ে চাটখিল বাজারের সেন্টার কাবাব হাউসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। ওই সময় একই উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম, শিপন, মো. স্বপন ও মো. আনোয়ারসহ কয়েকজন তরুণ রেস্তোরাঁয় ঢুকে বাশার ও তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। একপর্যায়ে তাঁদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন ওই তরুণেরা। টাকা না দিলে বাশার ও তাঁর বান্ধবীকে রাস্তায় নিয়ে সম্মানহানি করার হুমকি দেন তাঁরা।

পুলিশ বলছে, একপর্যায়ে জোর করে তাঁদের স্থানীয় একটি বিপণিবিতানের ভেতরে নিয়ে এক হাজার টাকা আদায় করেন। বাকি চার হাজার টাকার জন্য তাঁদের সিএনজিস্ট্যান্ডে নিয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে।

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্র বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।