নোয়াখালীতে নির্বাচনী ক্যাম্প ও বসতঘরে পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৫
নোয়াখালী সদর উপজেলার ৯ নম্বর কালাদরাফ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প, তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি বসতঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন।
গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে ইউনিয়নটির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শুল্লুকিয়ার হাজি করমুল্ল্যাহ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন নুরুল আলম (৫০) ও সুলতান আহম্মদ (৫৫)। বর্তমানে তাঁরা নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রহমান অভিযোগ করেছেন, গতকাল রাতে বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল আমিনের মোটরসাইকেল প্রতীকের ২০ থেকে ৩০ জন সমর্থক আকস্মিকভাবে করমুল্ল্যাহ বাজারে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় কার্যালয়ে বসে থাকা দুই সমর্থককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। হামলাকারীরা কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল আমিন বলেন, তাঁর নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের কোনো নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়নি। বরং নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরাই তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল ও বসতঘরের জানালার কাচ ভাঙচুর করেছেন।
উপজেলার সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনী বিরোধ নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নৌকার একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা পাল্টা হামলা চালিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল ও বসতঘরের জানালার কাচ ভাঙচুর করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জেনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।