নোয়াখালীতে পরিত্যক্ত ধানখেতে মিলল কলেজছাত্রীর লাশ, মুখে আঘাতের চিহ্ন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একটি পরিত্যক্ত ধানখেত থেকে শাহনাজ পারভিন ওরফে প্রিয়তা (২১) নামের এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত কলেজছাত্রীর মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার। তবে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে বেলা তিনটা পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নিহত কলেজছাত্রী শাহনাজ পার্শ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়ারহাট এলাকার নবী হোসেনের মেয়ে। তিনি কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং বসুরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিক্ষানবিশ নার্স হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় কিছু কিশোর ও তরুণ বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এয়াছিন মোল্লার বাড়ির পেছনের পরিত্যক্ত ধানখেতে ক্রিকেট খেলতে যান। সেখানে সীমানাপ্রচীর ঘেঁষে তাঁরা একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে কোম্পানীগঞ্জ থানায় খবর দেন। পরে বেলা একটার দিকে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওই কলেজছাত্রীর বাবা নবী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে নানার বাড়িতে থেকে কলেজে পড়ালেখা করতেন। পাশাপাশি বসুরহাট মডার্ন হাসপাতালে চাকরি করতেন। হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ডিউটি করতেন। গতকাল রোববার সকালে ডিউটিতে গেলেও রাতে বাড়ি ফেরেননি। রাত আটটার পর তাঁর মামি মুঠোফোনে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পান। এরপর আজ সকালে নানার বাড়ির অল্প দূরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তরুণীর লাশের সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র ও কলেজের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তাঁর নাম শাহনাজ আক্তার। তিনি কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া এলাকার বাসিন্দা বলে উল্লেখ রয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিহত কলেজছাত্রীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, সেটি যাচাইয়ের জন্য ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের কাছে অনুরোধ জানানো হবে।