নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলার দায় স্বীকার আরও তিনজনের

আদালত
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে মন্দির, দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা–ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার আরও তিন আসামি দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।

আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালত তিন আসামিকে জেলহাজতে পাঠান।

এই তিন আসামি হলেন রিপন আহাম্মেদ (১৯), আরাফাত হোসেন (২৪) ও ইব্রাহিম খলিল (২৫)।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম দায় স্বীকার করে আদালতে তিন আসামির জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ রোববার সকালে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই তিনজনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন, আরাফাত ও ইব্রাহিম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।

জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে আদালতে আসামিদের জবানবন্দি দেওয়া শেষ হয়। আদালতের নির্দেশে তিন আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করার ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে ১৫ অক্টোবর চৌমুহনীতে বেশ কয়েকটি মন্দির, পূজামণ্ডপ, দোকানপাট ও বাড়িতে হামলা–ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ইসকন ভক্ত নিহত হন। এ ছাড়া চারজন পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক সাতটি মামলা হয়েছে।