নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে তিন শিশুর মৃত্যু
নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় গত তিন দিনে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কালিয়া উপজেলায় দুজনের ও নড়াইল সদর উপজেলায় এক শিশুর বাড়ি। তিন শিশুই পথচারী ছিল। মোটরসাইকেল, বাস ও ইজিবাইকের চাপায় তাদের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার মাউলি গ্রামের কওছার আলী মোল্লার ছেলে তায়েব আলী মোল্লার (১০)।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির ভেতর থেকে রাস্তায় যাওয়ার পর একটি মোটরসাইকেল আজ তায়েবকে তীব্র গতিতে ধাক্কা দেয় ও ছেঁচড়ে নিয়ে যায়। এতে ওই মোটরসাইকেলের দুই আরোহীসহ তিনজনই আহত হয়। তাদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তায়েবকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর লিমন শেখ (১৭) ও ইয়াছিন মল্লিক (১৭) লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
একই উপজেলার সাবিহা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ইজিবাইকের চাপায়। সাবিহা নড়াগাতী থানার টোনা গ্রামের সাদেকুল শেখের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাস্তা পার হয়ে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময়ে একটি ইজিবাইক সাবিহাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় সে।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা শিশু দুটির মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেপরোয়া গতিতে দুই কিশোর মোটরসাইকল চালানোয় তায়েব পিষ্ঠ হয়ে মারা গেছে। শিশু সাবিহা ইজিবাইকের চাপায় মারা গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী বাসচাপায় মৃত্যু হয় শিশু তামান্নার (৬)। তামান্না নড়াইল শহরের ধোপাখোলা (বিলপাড়া) গ্রামের এমদাদুল হকের মেয়ে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা জানান, তামান্না মায়ের সঙ্গে হেঁটে রূপগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। যশোর থেকে লোহাগড়াগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দেয়। আশপাশের লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নড়াইল সদর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহামুদুর রহমান জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। শিশুটির পরিবার এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়নি।