পঞ্চগড়ে আ. লীগের একজনসহ জামানত হারাচ্ছেন ২৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুই উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত একজনসহ ২৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাঁদের জামানত হারাচ্ছেন। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ২২ জন এবং আটোয়ারী উপজেলায় ছয়জন রয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সব প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। তবে সব ভোটকেন্দ্র মিলিয়ে প্রদত্ত মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে, তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি সাত ইউপির মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে আটোয়ারী উপজেলার পাঁচ ইউপির মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি দুই ইউপিতে আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী এবং অন্যটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মাত্র ৯৪৩টি ভোট পেয়েছেন।
এ ইউপিতে নজরুলসহ তিন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এ ইউনিয়নে পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মজাহারুল হক প্রধানের বাড়ি। সাংসদের ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত হারানো নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানান গুঞ্জন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘সদর ইউপিতে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল ছিল। প্রার্থী বাচাইয়ের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কাগজে–কলমে থাকলেও সেখানে আমাদের কোনো অগ্রাধিকার ছিল না। জেলা আওয়ামী লীগ আমাদের মতামত না নিয়েই প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পঠিয়েছিল।’
আমিরুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর ধরে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান খান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রধান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তাঁরা দুজনই গণসংযোগ উঠান বৈঠক করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই নজরুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এ জন্য সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন আর নৌকার প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।