পটিয়ায় বাসে সন্তান জন্ম দিলেন ফারেছা
গতকাল সোমবার রাত ২টা ২৫ মিনিট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী একটি বাস হঠাৎ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থামল। এ সময় বাসের যাত্রীরা দৌড়ে গিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে ডেকে আনেন। জরুরি বিভাগে তখন কর্মরত ছিলেন মেডিকেল অফিসার রাজীব দে।
রাজীব দে বাসে গিয়ে দেখেন, সেখানে এক অন্তঃসত্ত্বা প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছেন। এরপর হাসপাতালের অন্য চিকিৎসক ও মিডওয়াইফদের (প্রশিক্ষিত ধাত্রী) সহায়তায় বাসের ভেতরেই সন্তান প্রসব করানো হয়। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক–সংলগ্ন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটেছে।
রাজীব দে বলেন, ওই সময় সেই নারীকে বাস থেকে নামানো সম্ভব ছিল না। তাই উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অজয় শীল, মিডওয়াইফ বিবি হালিমা ও শরীফা জেসমিন এবং ওয়ার্ডবয় হাসান ও রিন্টু নাথের সহায়তা নিয়ে বাসের মধ্যেই সন্তান প্রসব করানো হয়। বাচ্চা ও মা—দুজনেই এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ছেলেসন্তান জন্ম দেওয়া নারীর নাম ফারেছা বেগম (২৭)। তিনি রিকশাচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর (৩০) স্ত্রী। তাঁরা নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্বামী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাসের মধ্যেই তাঁর স্ত্রীর প্রসববেদনা শুরু হলে যাত্রীদের সহায়তায় বাসটি পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আরও ১০–১৫ দিন পর সন্তান জন্মের কথা ছিল। বাসের ড্রাইভার, যাত্রী ও হাসপাতালের ডাক্তার—সবাই সহযোগিতা করেছেন। এখন মা-ছেলে সুস্থ আছে।’