‘পত্রিকায় ছাত্রলীগের নাম, গ্রেপ্তার হলেন বিএনপি নেতা’

ঢাকা নিউমার্কেটের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনের মুক্তিসহ সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। নগরের ভুবনমোহন পার্কে
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে। অথচ সরকার এর দায় চাপাতে চাচ্ছে বিএনপির ওপর। এর অংশ হিসেবেই বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার।

নিউমার্কেটের ঘটনায় মকবুলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে নগরের ভুবন মোহন পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশ করে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। সেখানে প্রধান অতিথি রুহুল কুদ্দুস বলেন, আজকের খবরের কাগজে স্পষ্ট করে লিখে দিয়েছে কোন কোন ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করেছে। পত্রিকায় তাদের নাম-পরিচয় দেওয়া হচ্ছে, ছবি ছাপা হচ্ছে। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। অথচ বিনা কারণে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হলো। কেন তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হলো, জানতে চান তাঁরা।

আরও পড়ুন

বিএনপির এই নেতার ভাষ্য, সরকার সব সময় মিথ্যাচার করছে। মানুষের সঙ্গে চিট করে, দুই নম্বরি করে ক্ষমতায় আছে। সারা দেশের মানুষ দেখল নিউমার্কেট এলাকায় দুই দিন ধরে অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাসী, প্রকাশ্যে দিবালোকে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তাণ্ডব করেছে। এই তাণ্ডবের কারণে ওই এলাকাগুলোতে দুই–তিন দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আর পুলিশ প্রশাসন নির্বাক দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। অথচ আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের ক্যাডাররা নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে দুজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করল। আর গ্রেপ্তার হলেন মকবুল হোসেন।

রুহুল কুদ্দুস বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করে বলেন, তিনি তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আছেন। এইভাবে মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সরকার বোঝাতে চায় এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত। এই যে মিথ্যাচার, এই কারণে মানুষ আর সত্য কথা বিশ্বাস করে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে এই মিথ্যাচারের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠে মিথ্যাচার দিয়ে শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী। বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ প্রমুখ।