পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্বামী নজরুল ইসলামকে (৫৩) প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান স্ত্রী লালবানু (৪০)। এরপর প্রেমিক মোহাম্মদ শাকিরকে (২৫) সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন তিনি। পরে লাশ বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে ফেলে দেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গোমস্তাপুর আমলি আদালতের বিচারকের কাছে স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন লালবানু। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার জরপুর এলাকার রহনপুর-আড্ডা সড়কের পাশ থেকে নজরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নজরুল উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। আর লালবানু নজরুলের তৃতীয় স্ত্রী।
আদালতে স্বীকারোক্তির তথ্য নিশ্চিত করে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, নজরুলের তৃতীয় স্ত্রী লালবানুর বাড়ি উপজেলার এনায়েতপুরে। বাড়িসংলগ্ন চায়ের দোকান ছিল তাঁর। ওই দোকানে চা খেতে আসতেন পাশের ইটভাটার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাকির (২৫)। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাকিরের দেওয়া মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতেন লালবানু। বিষয়টি টের পেয়ে যান নজরুল। এ নিয়ে স্ত্রীকে মারধর করেছিলেন নজরুল এবং শাকিরকেও শাসিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নজরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা।
ওসি দিলীপ কুমার দাস আরও বলেন, লালবানু স্বীকার করেছেন, ওই দিন রাতে স্বামী নজরুলকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। নজরুল ঘুমিয়ে পড়লে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁরা। এরপর বাড়ির কাছেই রাস্তার পাশে লাশ ফেলে দেন।
দিলীপ কুমার জানান, লাশ উদ্ধারের দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবানুকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে শাকিরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।