পর্যটকের অপেক্ষায় বান্দরবান

বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের ঝুলন্ত সেতু
ছবি: প্রথম আলো

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও অবকাশযাপনকেন্দ্রগুলো। তবে গত ঈদের তুলনায় এবার পর্যটকদের সাড়া কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলাসহ শহরতলির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে তেমন একটা পর্যটক চোখে পড়েনি। যাঁরা এসেছেন তাঁদের অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম, পটিয়া, সাতকানিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও রাঙামাটি থেকে এসেছেন। তাঁরা দিনে এসে দিনেই ঘুরে যান।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে নীলাচল বেড়াতে আসা কর কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবী বলেন, বান্দরবান কাছাকাছি হওয়ায় ঈদের আগে তিন পরিবার মিলে বেড়াতে এসেছেন। আগামীকাল ঈদ হওয়ায় বিকেলেই আবার ফিরে যাবেন।

পটিয়া থেকে আসা একদল পর্যটকের সঙ্গে কথা হয় মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে। তাঁরা বলেছেন, ঈদের পরের দিন পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে গেলে প্রকৃতির নির্জনতা উপভোগ করা যাবে না। এ জন্য ঈদের আগে নির্জন-নীরবতায় প্রকৃতির নৈসর্গিক বনে এসেছেন।

রাঙামাটির রাঙাপান্যা থেকে ১৫ জনের একটি দল নীলাচলে ঘুরতে এসেছে। তাঁদের একজন হেমেন্দ্র চাকমা জানান, তাঁরা সবাই শ্রমজীবী। নীলাচল খুব সুন্দর জায়গা—মানুষের কাছে শুনে আত্মীয়রা মিলে ঘুরতে এসেছেন।

বান্দরবানের নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে তেমন একটা ভিড় চোখে পড়েনি
ছবি: প্রথম আলো

নীলাচল পর্যটনের ব্যবস্থাপক আদিব বড়ুয়া বলেছেন, আজ আশপাশের লোকজন বেশি। আগামীকাল কোরবানি শেষে দূরের আবাসিক পর্যটক আসা শুরু হতে পারে। ঈদের পরের দিন হয়তো বেশি আসবেন।

পর্যটন করপোরেশনের মেঘলা পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেছেন, গত ঈদের তুলনায় এবারের ঈদে অর্ধেকের কম পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মোটেলে এখন ৫০ শতাংশের কম কক্ষ আগাম ভাড়া হয়েছে।

ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি পর্যটক থাকেন হোটেল হিলভিউতে। হোটেলটির ব্যবস্থাপক পারভেজ আলম বলেন, গত ঈদে আগাম ভাড়ার কক্ষ সংকুলান হয়নি। কিন্তু এবার ৩০ শতাংশ কক্ষও আগাম ভাড়া হয়নি।

বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেছেন, বান্দরবানে পর্যটক কমে গেছে। এর একটি কারণ হিসেবে তিনি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

পর্যটন পুলিশ বান্দরবানের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, এবার ঈদে পর্যটক কম হবে। তারপরও পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।