‘পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা’
কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা ও মহানগর পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) মল্লিক ফখরুল ইসলাম। হাইওয়ে পুলিশপ্রধানের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা বলেছেন, সড়ক-মহাসড়কে পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তায় সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই গণপরিবহন ও পশুবাহী ট্রাক নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে যাতে পৌঁছাতে পারে, সে জন্যই এ পদক্ষেপ।
অতিরিক্ত আইজিপি আরও বলেন, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির তৎপরতা রোধে যাত্রীদের মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও তৎপর রয়েছে। এখন পর্যন্ত অজ্ঞান পার্টি বা মলম পাটির কোনো তৎপরতা খবর পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ‘ঈদের সময় সড়ক–মহাসড়কে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজায় টোল আদায়ের ধীরগতির জন্য কিছুটা সমস্যা হয়। আমরা টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এবার টোলপ্লাজার দুটি লেন দিয়ে মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন এবং বাকি লেন দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনসহ ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করবে।’ হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সবাই সড়ক-মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর জোনের পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ খান, সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান প্রমুখ।