পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে কান কেটে দেওয়ার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীর কান কর্তন ও দুই পায়ে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আহত ব্যবসায়ীর নাম কবীর মিয়া (৩৩)। তিনি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার অরুয়াইল বাজারের ব্যবসায়ী কবীর মিয়ার কাছ থেকে এক সপ্তাহের জন্য এক মাস আগে ৮০ হাজার টাকা ধার নেন খাইরুল ইসলাম (৩৫)। গত রোববার রাতে খাইরুল ইসলাম ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে কবীর মিয়াকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই সময়ে টাকা নিয়ে কবীর মিয়ার সঙ্গে খাইরুল ইসলামের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে খাইরুল ইসলাম, তাঁর বড় ভাই দ্বিন ইসলামসহ (৩৮) চারজন ছুরি দিয়ে কবীর মিয়ার বাঁ কানের অর্ধেক অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। একই সময়ে তাঁরা ছুরি দিয়ে কবীর মিয়ার দুই পায়ের হাঁটুর ওপরে একাধিক আঘাত করেন।
খবর পেয়ে কবীর মিয়ার লোকজন খাইরুলের বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় তাঁরা খাইরুল ও তাঁর পক্ষের লোকজনকে মারধর করেন। পরে তাঁরা কবীর মিয়াকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় কবীর মিয়ার চাচা তাহের মিয়া (৫৫) বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে খাইরুল ইসলাম, দ্বিন ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা করেছেন।
তাহের মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাতিজা অরুয়াইল বাজারের বড় ব্যবসায়ী। খাইরুল মিয়া ওই বাজারে কাপড়ের ছোটখাটো ব্যবসা করে। ওই দিন খাইরুল ভাতিজা কবীর মিয়াকে টাকা ফেরত দেওয়া কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে বাঁ কানের নিচের অংশ কেটে নিয়েছে।’
ব্যবসায়ী কবীর মিয়ার কান কেটে ফেলা ও তাঁর পায়ে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগের বিষয়ে খাইরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জায়গা নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ রয়েছে। ওই দিন রাতে অনেক লোক নিয়ে আমার বাড়িতে এসে কবীর আমাদের ওপর হামলা করেছে। ওই সময়ে কার কী হয়েছে, তা আমি বলতে পারি না। আমি তাকে ছুরিকাঘাত করিনি।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।