পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
পাবনা সদর উপজেলার চর তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নাসিম শেখ (২৫) নামের এক তরুণ নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত তরুণের বাবা নায়েব আলী বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি একটি মামলা করেন। অন্য মামলাটি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত তরুণের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে নিহত তরুণের বাবা থানায় এসে একটি খুনের মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা তিন–চারজনকে আসামি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খানের দায়ের করা মামলায় ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আবদুল মতিন (৩০) ও আবদুল কুদ্দুস (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খানের সমর্থকেরা প্রচারণা চালাতে যান। একই সময়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল হকের সমর্থকেরাও প্রচারের জন্য সেখানে যান। তখন দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় নাসিম শেখ নিজের মুঠোফোন দিয়ে সেই বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও করতে থাকেন। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়ে মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে নাসিমকে মারধর করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা নাসিম শেখকে মৃত ঘোষণা করেন।