আনোয়ারা পারকি সৈকতে ভেসে এসেছে মরা ডলফিন। শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে সৈকতে পরিত্যক্ত জাহাজের পশ্চিম পাশে
প্রথম আলো

চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সৈকতে ভেসে এসেছে মরা একটি ডলফিন। শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে সৈকতে পরিত্যক্ত জাহাজের পশ্চিম পাশে এটি দেখতে পান লোকজন। এটি বিপন্ন ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন বলে জানিয়েছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে ভাটা হলে সৈকতের পানি নেমে যায়। ওই সময় সৈকতের পরিত্যক্ত ক্রিস্টাল গোল্ড জাহাজের পশ্চিম পাশে ডলফিনটি দেখতে পান লোকজন। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য সাড়ে পাঁচ ফুট আর প্রস্থ আড়াই ফুটের মতো। এর গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং রক্ত ঝরছিল। এটি ভেসে আসার পর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।

গত তিন দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ রকম তিনটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে।

প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভেসে আসা ডলফিনটি ইরাবতী ডলফিন প্রজাতির। এটি আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএনের লাল তালিকায় ‘বিপন্ন’ (endangered) শ্রেণিভুক্ত ডলফিন। এর বৈজ্ঞানিক নাম Orcaella brevirostris। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ীও প্রজাতিটি সংরক্ষিত। গত তিন দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ রকম তিনটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। বিপন্ন এ ডলফিন কেন মারা যাচ্ছে, তা অনুসন্ধান করা দরকার।

আনোয়ারা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বারশত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, ডলফিনটি ভেসে আসার পর এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এটি পুঁতে ফেলা জরুরি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘পারকি সৈকতে ভেসে আসা ইরাবতী ডলফিনটি কেন মারা গেল, তা জানতে ময়নাতদন্ত করতে পারলে ভালো হতো। বিপন্ন তালিকার এ ডলফিন জেলেদের জালের আঘাতে মারা গেছে বলে ধারণা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ডলফিন রক্ষায় উচ্চপর্যায়ের কাজ করা দরকার।