পিরোজপুরে যুবলীগ কর্মীর কবজি কেটে নেওয়ার ঘটনায় ৪ জন গ্রেপ্তার
পিরোজপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ কর্মী নাদিম খানের (২৫) ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়ার মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা–পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সদর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের ছায়েদ শেখ (৪২), তাঁর ভাই হাফিজ শেখ (৪০) ও সহিদ শেখ ৪৮) এবং একই গ্রামের মনির শেখ (৪০)।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান বলেন, মামলার চার আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি বিকেলে পিরোজপুর শহরের গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস জনসভার আয়োজন করে সদর ও পৌর আওয়ামী লীগ। কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খানের নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মী নাদিম খান মিছিল করে এ জনসভায় অংশ নেন। এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া নিয়ে কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিহাব হোসেন শেখের ভাই ফারুক শেখের সঙ্গে নাদিমের ঝগড়া হয়।
এ ঘটনার জেরে পরদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর কদমতলা গ্রামে নাদিম খান ও মাসুদ খানের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে নাদিম খানের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর জখম নাদিম খান রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নাদিম খান সদর উপজেলার তেজদাসকাঠী গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে। এ ঘটনায় নাদিম খানের ফুফু তামান্না বেগম বাদী হয়ে কদমতলা ইউপির চেয়ারম্যান সিহাব হোসেন শেখ, তাঁর ভাই ফারুক শেখ, ভাইয়ের ছেলে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ হোসেনসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।