পিরোজপুরে হামলার ১৪ দিন পর আহত ব্যক্তির মৃত্যু
পিরোজপুরে প্রতিপক্ষের হামলার ১৪ দিন পর আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই ব্যক্তির নাম আলম মৃধা (৫০)। তিনি পিরোজপুর পৌরসভার ব্রাহ্মণকাঠী মহল্লার মৃত আবদুল আজিজ মৃধার ছেলে।
এর আগে ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় পৌরসভার পূর্ব খানাকুনিয়ারি মহল্লায় প্রতিপক্ষের হামলায় আলম মৃধা গুরুতর আহত হন। আজ সোমবার দুপুরে নিহত আলমের লাশের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আলম মৃধার পরিবারের ভাষ্য, আলম মৃধার পরিবারের সঙ্গে পাশের পৌরসভার পূর্ব খানাকুনিয়ারি মহল্লার রাজু শিকদারের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় পৌরসভার পূর্ব খানাকুনিয়ারি মহল্লায় পানি সেচের মেশিন কেনাবেচা নিয়ে আলম মৃধার ভাই আবুল কালামের সঙ্গে রাজু শিকদারের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আলম মৃধা তাঁর ভাইকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে রাজু শিকদার ও তাঁর বাবা মহব্বত শিকদার রাজুর ভগ্নিপতি জাহিদ হাওলাদার, ভাগ্নে রাহাত হাওলাদারের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষিতে আলম মৃধা গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন আলম মৃধাকে উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বেলা পৌনে তিনটায় তিনি মারা যান।
আলম মৃধার ছেলে হাসিবুর রহমান বলেন, ‘১৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আমার বাবা মারা গেছেন। আমি বাবার খুনিদের গ্রেপ্তার ও তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
এর আগে গতকাল সকালে আলম মৃধার ছেলে হাসিবুর রহমান বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান বলেন, নিহত ব্যক্তির ছেলের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আজ দুপুরে নিহত ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত হবে।