পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে আসামি ছিনতাই, এক নারী আটক

ফরিদপুরের সালথায় একদল নারীর বিরুদ্ধে পুলিশের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা একটার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের ছয়আনিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক নারীকে এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খারদিয়া এলাকার বিট কর্মকর্তা নাজমুল ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিয়াকত হোসেন এক আসামিকে আটক করেছিলেন। কিন্তু ওই সময় খারদিয়া গ্রামের ১৮ থেকে ২০ জন নারী হামলা করেন। তাঁরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে জাপটে ধরে আলাদা করে ফেলেন। ওই সুযোগে পালিয়ে যান তারা মিয়া (৫৩) নামের ওই আসামি। এ অভিযানে কোনো নারী পুলিশ সদস্য না থাকায় আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে।

তারা মিয়া খারদিয়া গ্রামের ছয়আনিপাড়ার বাসিন্দা মৃত মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যদুনন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার বিরোধ রয়েছে। এর জেরে ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়। গত ২০ এপ্রিল খারদিয়া এলাকায় এই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় গত ২১ এপ্রিল পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলার আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া গ্রেপ্তার হন। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারা মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থক। তিনি পুলিশের ওপর হামলার মামলার আসামি। এ ছাড়া তাঁর নামে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বলেন, আজ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ চলছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।