পুলিশের হয়রানির অভিযোগে আশুলিয়ায় অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের হয়রানির অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে তাঁরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
পুলিশ এসে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরাতে চাইলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরাতে সক্ষম হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনরত রিকশাচালক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সাভার হাইওয়ে পুলিশ আমাদের অটোরিকশা আটকিয়ে চাঁদা নেয়। রেকার বিলের কথা বলে পুলিশ বিভিন্ন পরিমাণে টাকা নেয়। জরিমানার পুরো টাকা দিলে রিসিভ দেয়, কম দিলে রিসিভ দেয় না। টাকা দিতে না পারলে পরে আর থানা থেকে রিকশা পাওয়া যায় না। দালাল দিয়ে রিকশা বিক্রি করে দেয়। এসবের প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ করলে পুলিশের লাঠির আঘাতে আমাদের তিন-চারজন আহত হয়েছেন।’
সাভার হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কে নিষিদ্ধ যান চলাচল করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতেই হবে। তাঁরা যে অভিযোগগুলো করছেন, তা সত্য নয়। কেউ কোনো দিন এ ব্যাপারে একটিও অভিযোগ না করে হঠাৎ করে সড়ক অবরোধ করলেন, যা কখনোই কাম্য নয়। শক্ত হাতে মহাসড়কের শৃঙ্খলা রক্ষা করায় অনেকেই অবৈধ সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাঁদেরই কেউ শ্রমিকদের হয়তো ব্যবহার করছেন। তিনি আরও বলেন, আইন না মানায় হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও সড়কে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। শ্রমিকেরা শুধু মনে করেন, হাইওয়ে পুলিশই তাঁদের যানবাহন আটকিয়েছে। যথাস্থানে খবর না নিয়েই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিকশাশ্রমিকদের বলেছি, চাঁদাবাজিসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনে আমাদের জানাতে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’