পুলিশ পাহারায় সাতজন মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের জামাত
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পঞ্চগড়ের একটি মসজিদে পুলিশ পাহারায় সাতজন মুসল্লির অংশগ্রহণে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন ওই এলাকার মনির হোসেন।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় ওই মসজিদে নারী-পুরুষ একসঙ্গে ঈদের জামাত আদায়ের কথা ছিল। নামাজ আদায়ের জন্য বেশ কিছু নারী-পুরুষ ওই এলাকায় জড়ো হলে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। পরে পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশের উপস্থিতিতে নারীদের ছাড়াই সাতজন মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সাল থেকে হফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে উত্তর কামারপাড়া, বংশীঝাড়, হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের ডাবরভাঙ্গা, আমবাড়ি, বোদা উপজেলার কাজলদিঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের বোতলডাঙ্গা এলাকার প্রায় ২৫টি পরিবারের ৪০ থেকে ৪৫ জন পুরুষ ও নারী সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই ঈদুল ফিতর পালন করে আসছিলেন। তবে ঈদুল আজহার নামাজ বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদায় করতেন।
এবার তাঁরা এক দিন আগেই ঈদুল আজহার নামাজও নারী-পুরুষ একত্রে আদায়ের প্রস্তুতি নেন। এক দিন আগে নারী-পুরুষ একত্রে মসজিদের ভেতর ঈদের নামাজ আদায় হবে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই মসজিদের আশপাশে স্থানীয় মুসল্লিরা জড়ো হয়ে নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই নারী মুসল্লিদের ছাড়াই মাত্র সাতজন মুসল্লির অংশগ্রহণে মসজিদের ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিয়া বলেন, উত্তর কামারপাড়া এলাকায় মাত্র চার থেকে পাঁচটি পরিবারের নারী-পুরুষেরা একত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সকালে নামাজ আদায় করবে বলে পুলিশ খবর পায়। ওই এলাকায় বেশির ভাগ মুসল্লিই দেশের প্রচলিত নিয়মে আগামীকাল ঈদুল আজহা পালন করবে। এ ক্ষেত্রে মুসল্লিদের মধ্যে যেন কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য পুলিশ ওই এলাকায় যায়। পরে কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই সাতজন মুসল্লি মসজিদের ভেতরে ঈদের নামাজ আদায় করেন।