ঝালকাঠিতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিকে শহরের লঞ্চঘাট থেকে সরিয়ে সুগন্ধা নদীর তীরের ডিসি পার্ক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-ঝালকাঠি চলাচলকারী সুন্দরবন-১২ লঞ্চের সাহায্যে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিকে সরানো হয়। যাত্রীদের ওঠানামা ও পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে লঞ্চটি ঘাট থেকে সরানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে নিখোঁজদের সন্ধানে অষ্টম দিনের মতো অভিযান চলছে। আজ সকাল সাতটা থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন অংশে নৌযান ও ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন। তবে আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত নতুন কোনো লাশের সন্ধান মেলেনি।
সুগন্ধা ও বিষখালী নদী থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনের পরিচয় না পাওয়ায়, তাঁর লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে সমাহিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, যাত্রীদের ওঠা-নামা ও পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি ঘাট থেকে সরিয়ে ডিসি পার্কে আনা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য আরও দু-এক দিন অভিযান অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসন উদ্ধার অভিযান তদারকি করছে।
২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি ঝালকাঠি শহরের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ আগুন লাগে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় গত সোমবার রাতে নিখোঁজ এক যাত্রীর স্বজন মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় ওই লঞ্চের মালিক, চালকসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এরপর গত বুধবার দুপুরে লঞ্চ থেকে পুড়ে যাওয়া মালামাল থানায় নিয়ে গেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।