পূর্ববিরোধের জেরে হত্যা, গোপালগঞ্জে একজনের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চান মিয়া উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের তিতাগ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে ছিলেন না। রায়ে মামলার ২৩ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিহত কামাল হোসেনের সঙ্গে চান মিয়ার আগে থেকেই বিরোধ ছিল। ২০১৫ সালের ১৬ মে কামাল হোসেন উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের তিতাগ্রামে একটি মিলাদ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। চান মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চান মিয়া ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন কামালকে ঘিরে ফেলেন এবং এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে কামালের বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কামাল লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর ২০১৫ সালের ১৮ মে কামাল হোসেনের বাবা শাহাদাৎ ফকির বাদী হয়ে ২৮ জনকে আসামি করে কাশিয়ানী থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলায় কাশিয়ানী থানা-পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে আসামিপক্ষ আদালতে নারাজি দিলে আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পিবিআই দীর্ঘ তদন্তের পর ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর সব পক্ষের সাক্ষ্য, যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শহিদুজ্জামান খান জানান, শুধু একজন আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় তাঁরা সন্তুষ্ট নন। হত্যাকাণ্ডে অন্য আসামিরাও জড়িত ছিলেন। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।