প্রতারণার মামলায় দুই পরিচালকসহ আমান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কারাগারে

আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম
ছবি: আমান গ্রুপের ওয়েবসাইট

যমুনা ব্যাংকের করা প্রতারণার মামলায় আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং দুই পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও তৌফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দিয়েছেন।

কারাগারে যাওয়া তিন আসামি সম্পর্কে পরস্পরের ভাই। রাজশাহী মহানগরের সাগরপাড়া এলাকায় তাঁদের বাড়ি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক আবুল হাশেম বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে উচ্চ আদালতের আদেশে সোমবার তাঁরা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

যমুনা ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীও তৌফিকুল ইসলাম। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নামে যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে ৮৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁর এই ঋণের জামিনদার ছিলেন ভাই রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম। ঋণ নেওয়ার পর তাঁরা জালজালিয়াতির মাধ্যমে বন্ধকি সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর করেন। ৮৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হয়ে যায়। এ নিয়ে ২০১৯ সালে যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মনজুরুল আহসান শাহ এই তিনজনের বিরুদ্ধে নগরীর শাহমখদুম থানায় প্রতারণার মামলা করেন। এই মামলায় রাজশাহীর আদালত তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আমান গ্রুপের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা ব্যাংকের একটি মামলায় চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালক স্যার জামিন নিতে গিয়েছিলেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মামলাটা কী ছিল, সেটা আমি জানি না।’