নাটোর পৌরসভা নির্বাচন
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ ১০ দাবি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর
নাটোর পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও দলনিরপেক্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক আল মামুন। আজ শনিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে এসব দাবি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ এমদাদুল হক বলেন, নৌকার প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে প্রার্থী হিসেবে তিনি নিজে ও সাধারণ ভোটাররা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কিত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর প্রচারণায় বাধা, কর্মীদের মারপিট, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচারণা সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়াসহ সাতটি ঘটনার তথ্য তুলে ধরেন।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে শহরে অর্ধশতাধিক নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করেছেন। এসব কার্যালয়ে পৌরসভা ও নেসকোর লাইন থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিয়েছেন। সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের কাছে অন্তত ১০টি অভিযোগ দিয়েছেন। অথচ একটিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট ও দলনিরপেক্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে মিথ্যা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করা, প্রচারণাকালে নিরাপত্তা জোরদার করা, নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা, অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, সাংবাদিকদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা, ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, আচরণবিধি বাস্তবে কার্যকর করা ও লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী উমা চৌধুরী বলেন, তাঁর কোনো ক্যাডার বাহিনী নেই। ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য হয়তো অন্য কোনো মহল তাঁর কর্মীর নাম ভাঙিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এ ছাড়া তিনি নিয়মের বাইরে নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করেননি বা সেখানে নেসকো বা পৌরসভার বিদ্যুৎ ব্যবহার করেননি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আছলাম বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে তিনি নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ দফা সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৬ জানুয়ারি নাটোর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই অনেক দাবি বাস্তবায়িত হবে।