প্রতিবেশীর ফোন পেয়ে স্বামীর নির্যাতনের শিকার প্রসূতিকে উদ্ধার করল পুলিশ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সন্তান প্রসবের পরই আঁখি আক্তার (২০) নামের এক নারী স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ এক প্রতিবেশীর ফোন পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নবজাতকসহ আঁখি আক্তার বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে উপজেলার লেমশীখালী বশির উল্লাহ সিকদারপাড়ার বাসিন্দা ফরিদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছের সঙ্গে একই পাড়ার নুরুল আবছারের মেয়ে আঁখির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আঁখিকে বাবার বাড়িতে কখনো যেতে দেওয়া হয়নি।
আঁখির মা রোকসানা বেগম বলেন, গত রোববার আঁখির প্রসবব্যথা শুরু হলে হাসপাতালে পাঠাতে গড়িমসি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে রাতে তাঁকে স্থানীয় লেমশীখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে পেকুয়ায় একটি ক্লিনিকে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন আঁখি। পরদিন সোমবার আঁখিকে স্বামী ইউনুছ নানা অজুহাতে বেধড়ক মারধর করেন। একইভাবে মঙ্গলবার দুপুরেও চড়াও হন। এতে আঁখির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। চিৎকার শুনে তাঁর মা সেখানে গেলে তাঁকেও লাঞ্ছিত করেন ওই পরিবারের লোকজন।
এমন অবস্থা দেখে এক প্রতিবেশী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে পুলিশের সাহায্য চান। পরে টহল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা ও নবজাতককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। নির্যাতিত নারীর পক্ষে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।