কুষ্টিয়ায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধিকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তাহীনতায় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সব ধরনের সংবাদ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের পাঁচটি সংগঠন।
আজ শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের আবদুর রাজ্জাক মিলনায়তনে সংগঠনটির যৌথ সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী মাহবুব রহমানের সভাপতিত্বে সভায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব, কুষ্টিয়া এডিটরস ফোরাম, কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, জেলা ইউনাইটেড অনলাইন প্রেস ক্লাব ও জেলা টেলিভিশন ক্যামেরা পারসন অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি আনিসুজ্জামান ডাবলু, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম দোলন, জেলা এডিটরস ফোরামের সহসভাপতি লুতফর রহমান কুমার, কোষাধ্যক্ষ এম এ জিহাদ, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাভিশন ও দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি হাসান আলী, সাধারণ সম্পাদক ও সময় টিভির প্রতিনিধি এস এম রাশেদ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের স্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস, ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার শেখ হাসান বেলাল, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তিতাস, টেলিভিশন ক্যামেরাপারসন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসিফুজ্জামান শারফু, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রথম আলোর প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান, যুগান্তর প্রতিনিধি এম জুবায়েদ রিপন, বাংলাটিভির প্রতিনিধি এম লিটন উজ জামান, সমকাল প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা, দীপ্ত টেলিভিশনের প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের উপস্থিতিতে সাংবাদিক নামধারী এক রাজনৈতিক নেতা তাঁর লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে যমুনা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন লালনের ওপর হামলা চালান। পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উপস্থিতিতে এমন ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীরা হতবাক হয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে দ্রুত পুলিশ সুপার সভাকক্ষ ছেড়ে নিজের কক্ষে চলে যান। পরে ওই লাঞ্ছিতের ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুষ্টিয়ার সব গণমাধ্যমকর্মী কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার, শীর্ষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের জানলেও তাঁদের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখেননি। তাই ক্ষুব্ধ জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে বাধ্য হন।
এর আগেও জেলায় কর্মরত মূলধারার সাংবাদিকেরা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন। এমনকি জাতীয় কিছু সংবাদপত্রের ছাপা সংখ্যা পোড়ানো ও সম্পাদকদের বিরুদ্ধেও মানববন্ধন হয়েছে। এসব ঘটনায় জেলার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পাননি সাংবাদিকেরা।