প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের ওই কিশোর প্রায় তাকে উত্ত্যক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দিত। বিষয়টি ছাত্রীটি তার বাবা-মাকে জানায়। তাঁরা শাহাদতকে সাবধান করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত ছিল সে।
গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রাসা খুললে ওই ছাত্রী বইখাতা ব্যাগে নিয়ে দুই সহপাঠীর সঙ্গে মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। পথে শাহাদত ওই ছাত্রীর পথ রোধ করে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে ও বইয়ের ব্যাগ ছুড়ে ফেলে দেয়। এ সময় সঙ্গে থাকা দুই সহপাঠীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে মাদ্রাসার দুজন শিক্ষকও দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শাহাদত হোসেনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা তার এক সহপাঠী বলে, ‘আমরা তিন বান্ধবী মাদ্রাসায় যাচ্ছিলাম। এ সময় একজন ছেলে এসে সামনে দাঁড়ায়। আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। ছেলেটি আমার বান্ধবীর উদ্দেশে করে বলে, “তোর এত বড় সাহস, তুই আমাকে অপমান করিস।” এরপর ছেলেটি বান্ধবীর কাছ থেকে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে।’
ওই ছাত্রীর মা জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর মেয়ে ভয়ে কাঁপছে আর কাঁদছে। এ ঘটনার বিচার চান তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদ্রাসার সুপার বলেন, মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে তাঁরা আগে জানতেন না।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের হেফাজতে থাকা শাহাদত বলে, ‘আমি কখনো মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিইনি। উত্ত্যক্তও করিনি। আমার বিরুদ্ধে সে তার পরিবারকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে অপমান করিয়েছে। এর কারণ জানার জন্য তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম।’ বদরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রণয় চন্দ্র রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।