ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজে অগ্নিদগ্ধ স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দাপা বালুরঘাট এলাকায় তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ নুরুল আমিন (৩০) মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত নুরুল আমিনের স্ত্রী অগ্নিদগ্ধ আর্জিনা বেগম নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান অগ্নিদগ্ধ নুরুল আমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নুরুল আমিন টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার সাখাইল এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় রূপচান ব্যাপারীর বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতেন তিনি। পাশাপাশি রূপচান ব্যাপারীর মালিকানাধীন ঘাটে বালু কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তির লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আর্জিনা বেগমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরে নিহত নুরুল আমিনের ভাড়া বাসায় তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী আর্জিনা বেগম দগ্ধ হন। খবর পেয়ে বিসিক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।