ফরিদপুরের ৩ পৌরসভায় বিধিনিষেধ মানাতে মাঠে পুলিশ
ফরিদপুরের তিনটি পৌরসভায় আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। শহরে ঢোকার প্রতিটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। রাস্তাগুলো বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বাইরে থেকে আসা কোনো যানবাহন।
ফরিদপুর পৌরসভার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দূরপাল্লার বাসগুলো শহরের বাইপাস হয়ে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে মুন্সিবাজার দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোহাগ শেখ নামের এক ব্যক্তি মধুখালী থেকে তাঁর স্ত্রী হেলেনা বেগমকে নিয়ে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে আসেন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী দেখতে রওনা হওয়া তাঁদের ইজিবাইকটি শহরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইজিবাইক থেকে তাঁদের নামিয়ে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এতে খুশি হন ওই দম্পতি।
ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, মুন্সিবাজার ও বেড়িবাঁধ এলাকায় শহরের প্রবেশমুখে চারটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে অসুস্থ রোগীদের চলাফেরার জন্য।
রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্য শরিফুল বলেন, সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালনের জন্য সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। তবে ব্যবস্থা কার্যকর করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। মানুষ নানা কথা বলে বাইরে বের হচ্ছেন।
এদিকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিসমিল্লাহ শাহ দরগার কাছ থেকে মেডিকেল কলেজ হয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় পর্যন্ত কিছু ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা গেছে। সেসব পরিবহনগুলো ব্যবহার করছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আজ সকাল ছয়টা থেকে ফরিদপুর পৌরসভার পাশাপাশি ভাঙ্গা ও বোয়ালমারী পৌরসভায়ও কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। ভাঙ্গা থেকে খবর পাওয়া গেছে, সেখানে বাজার এলাকায় কঠোর নজরদারি। তবে মহাসড়কে চলাচল করছে দূরপাল্লার বাস, ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ নানা ধরনের যানবাহন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, সর্বাত্মক বিধিনিষেধ মানতে যত কঠোর হওয়া প্রয়োজন, পুলিশ ততটা কঠোর হবে। তবে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। এখন সংকটকাল চলছে, জেলার করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।