সমঝোতা সভায় যোগ দিতে আকস্মিকভাবে আজ সকাল ছয়টা থেকে ফরিদপুরের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক–শ্রমিকেরা। সম্প্রতি ফরিদপুর বাস টার্মিনালে
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখে মালিক ও শ্রমিকনেতারা সমস্যা নিরসন সভায় যোগ দেওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় যোগ দিতে সকাল ছয়টা থেকে আকস্মিকভাবে ফরিদপুরের অভ্যন্তরীণ ও আন্তজেলা সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক-শ্রমিকেরা। বাস বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীদের বাস টার্মিনালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বিকল্প পন্থায় অতিরিক্ত সময় ও খরচ করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

সভায় যোগ দিতে বাস বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি জুবায়ের জাকির বলেন, শ্রমিকেরা চাচ্ছিলেন, যেদিন এ নিয়ে আলোচনা হবে, সেদিন সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বাস চলাচল বন্ধ রেখে সভায় যোগ দেবেন। এ জন্য আজ সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বেলা দেড়টার দিকে সমঝোতা সভা শেষ হওয়ার পর বেলা দুইটায় সব রুটে যান চলাচল শুরু হয়।

জেলা প্রশাসকের মিনি সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র, বাসমালিক ও শ্রমিকনেতাদের মধ্যে এই সমঝোতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সভায় মহাসড়কে মাহেন্দ্রসহ কোনো থ্রি-হুইলার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফরিদপুর শহরে আসা থ্রি-হুইলার বিকল্প কোন পথ ব্যবহার করবে, তা যাচাই করে নির্ধারণ করতে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোসকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

সভায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সমঝোতা সভার জন্য কেন বাসমালিক ও শ্রমিকেরা আকস্মিকভাবে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন, তা তাঁর বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, আকস্মিকভাবে আট ঘণ্টা বাস বন্ধ রাখায় বিভিন্ন পথে চলাচলকারী যাত্রীরা দুর্ভোগের মুখে পড়েন।