ফাইল চুরিসহ পৃথক মামলায় জয়পুরহাট আদালতের চার কর্মচারী কারাগারে
জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান গেটে তালা ও সরকারি ফাইল চুরির পৃথক দুটি মামলায় ওই আদালতের নাজির, গাড়িচালক, ক্যাশ সরকারসহ চার কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের চিনিকল সড়ক থেকে তাঁদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাঁদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
পরে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিকুল ইসলাম ৩১ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে এই চারজনকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আদালতের নাজির জহুরুল ইসলাম (৪৩), গাড়িচালক মো. রাসেল (৩০), আদালতের ক্যাশ সরকার মো. কামরুজ্জামান (৪৩) ও আদালতের প্রসেস সার্ভার জাহাঙ্গীর আলম (৩৯)।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ মে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারীরা আদালতের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে অন্যদের পথ রোধ করেন এবং সরকারি কাজে বাধা দেন। সেখানে তালা ঝোলানো নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পরের যোগসাজশে ২৫ মের আগে কোনো এক দিন অফিসকক্ষ থেকে সরকারি ২০টি ফাইল চুরি করেন। এসব অভিযোগ তুলে চলতি বছরের ৩ ও ৯ জুন আদালতের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সরকার বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় পাঁচজনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন।
এরপর গতকাল বিকেলে ওই মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ মামলার আরেক আসামি বগুড়া জেলা সদরের সবুজবাগ এলাকার হাফিজ মাস্টারের ছেলে সামসুল আরেফিন পলাতক।
জয়পুরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার চার আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ৩১ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন। আদালতের নির্দেশে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।