ফেনীতে স্টার লাইন গ্রুপের একটি বিস্কুট কারখানায় দুপুর দেড়টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ বিকেলে সদর উপজেলার কাশিমপুর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ফেনী সদর উপজেলার কাশিমপুর এলাকায় স্টার লাইন গ্রুপের একটি বিস্কুট কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা দেড়টায় আগুন লেগে অল্প সময়ের মধ্যে কারখানার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডে ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে মালিকপক্ষ। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস, কারখানা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার কাশিমপুর এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে স্টার লাইন গ্রুপের একটি বিস্কুট কারখানার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে কারখানায় লোকজন কম ছিল। তাঁরা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফেনী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন কারখানার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে আরও ১২টি ইউনিটসহ মোট ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আরও পড়ুন

ফেনীতে বিস্কুট কারখানায় আগুন, ৩০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির দাবি

ফেনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, স্টার লাইন গ্রুপের একটি বিস্কুট কারখানায় আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে তাদের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে পরে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে আরও ১২টি ইউনিট খবর দেওয়া হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে মোট ১৫টি ইউনিট একযোগে কাজ করে। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। ভেতরে এখনো আগুন জ্বলছে বলে জানান তিনি।

স্টার লাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে নামাজের বিরতির কারণে কারখানায় তেমন লোকজন ছিল না। পবিত্র রমজান উপলক্ষে সেমাই, নুডলস, বিস্কুট তৈরি করে গুদামে রাখা ছিল। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুনে ৪০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর মোট কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা জানা যাবে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ করছে
ছবি: প্রথম আলো

আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে না। তা ছাড়া এখন আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বলা মুশকিল।

এর আগে গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই বিস্কুট কারখানায় আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।