তীব্র স্রোতের কারণে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় জায়গা না পেয়ে লঞ্চের সামনে-পেছনে দাঁড়িয়ে পদ্মা পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলোকে চলাচল করতে দেখা যায়।
যাত্রীরা বলছেন, লঞ্চগুলোতে স্বাভাবিক ভাড়া নেওয়া হলেও অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। মাঝপদ্মায় ঢেউ ও প্রবল স্রোতের কারণে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তাঁদের।
ঢাকাগামী লঞ্চের যাত্রী শামীম রহমান বলেন, ‘ছোট লঞ্চগুলো উত্তাল পদ্মায় খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফেরি বন্ধ থাকায় আমি বাধ্য হয়ে লঞ্চে করে পদ্মা পার হয়েছি। মাঝপদ্মা পাড়ি দেওয়ার সময় বড় বড় ঢেউ ও তীব্র স্রোতে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, পদ্মায় অস্বাভাবিক পানি বাড়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। দুর্ঘটনা এড়াতে গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। এতে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, এই নৌ রুটে উভয় ঘাট থেকে ৮৭টি লঞ্চ চালু আছে। ফেরি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চাপ থাকলেও কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে না। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কথা মাথায় রেখেই লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে কম যাত্রী তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে বরিশাল থেকে আসা ঢাকাগামী আরেক যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, ‘লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। লঞ্চের একটি আসনও ফাঁকা নেই। লঞ্চের সামনে-পেছনে দাঁড়িয়ে পদ্মা পারি দিতে হয়েছে আমাদের। যাত্রী কম নিলে ঝুঁকি কম থাকে।’
এ বিষয়ে বাংলাবাজার ঘাটের দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জামালউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ ও নৌপুলিশের সদস্যরা ঘাটে নিয়োজিত আছেন। লঞ্চে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি। তবে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, পদ্মা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় আরও বেড়েছে। স্রোতের তীব্রতা না কমলে ফেরি চালু হবে না।