ফোন না ধরার কারণ খুঁজতে গিয়ে মেয়ের লাশ পেলেন বাবা

লাশ
প্রতীকী ছবি

প্রতিদিন অন্তত একবার মেয়ে পারুল আক্তারের (৩৬) সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় আহমেদ আলীর। কিন্তু আজ সোমবার সকাল থেকে পারুলকে মুঠোফোনে পাচ্ছিলেন না তিনি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও মিলছিল না উত্তর। এরপর উদ্বিগ্ন আহমেদ আলী ছুটে আসেন মেয়ের বাড়ি।

সেখানেও নেই কোনো সাড়াশব্দ। ঘরের দরজায় তালা। এরপর পুলিশি সহায়তায় বিকেলে সেই তালা ভেঙে মিলল মেয়ের লাশ। গাজীপুরের টঙ্গীর দাঁড়াইল বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পারুল জর্ডানপ্রবাসী। চার-পাঁচ মাস আগে দেশে এসে দ্বিতীয় সংসার পাতেন স্বামী শান্তাহার মল্লিকের সঙ্গে। এর পর থেকে তাঁরা দুজন থাকতেন দাঁড়াইল বটতলার এই বাড়িতে। এটা পারুলের নিজের বাড়ি। এর মধ্যেই আজ বিকেলে নিজ ঘরে পাওয়া যায় তাঁর লাশ।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পারুল সম্প্রতি বিদেশ থেকে এসে জায়গা কিনে বাড়ি করেন দাঁড়াইল বটতলা এলাকায়। স্বামী শান্তাহার মল্লিক থাকতেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর মা–বাবা থাকেন রাজধানীর মিরপুর এলাকায়।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। পরে ঘরের দরজা ভেঙে বিছানার ওপর পারুলের লাশ পাওয়া যায়। পারুলের শরীরে কোনো জখম নেই, তবে গলায় রশির দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে।