ঢালারচর এক্সপ্রেস
বগির সংকট, ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি
পাবনা সদর স্টেশন থেকে যাত্রীদের জন্য ৩ বগি মিলিয়ে ১৫১টি আসন বরাদ্দ। বর্তমানে মাত্র ৪৭টি টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
পাবনার বেড়া থেকে রাজশাহীগামী ঢালারচর এক্সপ্রেসে সদর উপজেলার যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকে ‘চ’ বগি। সম্প্রতি মেরামতের জন্য এই বগি নীলফামারীর সৈয়দপুর কারখানায় পাঠানো হয়েছে। হঠাৎ এই এক্সপ্রেসের একটি বগি কমে যাওয়ায় পাবনা সদর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে হুড়োহুড়ি লাগছে যাত্রীদের।
‘চ’ বগিটি মেরামতের জন্য পাঠানো হলেও বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি। এতেই ঢালারচর এক্সপ্রেসে করে রাজশাহীগামী যাত্রীদের তুলনায় বগির সংকট তৈরি হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনের নতুন রুট তৈরি হলেও কোচ (বগি) বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন কোচ বরাদ্দ না হলে সংকট থেকেই যাবে।
ঢালারচর এক্সপ্রেসে পাবনা সদর উপজেলার যাত্রীদের জন্য ‘চ’ বগিতে ১০৪টি, ‘খ’ ও ‘ঘ’ বগি মিলিয়ে ৪৭টি আসন বরাদ্দ থাকে। সদর স্টেশনের কাউন্টার থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন দুই শতাধিক যাত্রী টিকিট নিতে আসেন। এখন ‘চ’ বগি না থাকায় সংকট আরও প্রকট হয়েছে।
গত বুধবার স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল আটটার ট্রেনের অপেক্ষায় দেড় শতাধিক যাত্রী। কাউন্টার থেকে জানা গেল, এর মধ্যে টিকিট পেয়েছেন মাত্র ৪৭ জন। অন্যরা বিনা টিকিটেই যাত্রার অপেক্ষায়। সোয়া আটটার দিকে ঢালারচর এক্সপ্রেস স্টেশনে আসে। তখন ট্রেনে উঠতে হুড়োহুড়ি শুরু হয় যাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত কিছু যাত্রী রেখেই ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
ট্রেনে উঠতে না পেরে জেলা শহরের পৈলানপুর মহল্লার খায়রুজ্জামান বলেন, পাসপোর্টের কাজে রাজশাহী যেতে চেয়েছিলেন। ভিড় আর যাত্রীদের হুড়োহুড়ির কারণে ট্রেনেই উঠতে পারেননি।
সদর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বেড়ার ঢালারচর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত নতুন রেলপথে মোট ১০টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে পাবনা জেলা সদর স্টেশন থেকে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ওঠেন। তাঁদের জন্য নির্ধারিত ‘চ’ বগি ২০ ডিসেম্বর মেরামতের জন্য সৈয়দপুরে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে অন্তত ১০০ যাত্রীর জন্য বগির সংকট তৈরি হয়েছে। এসব যাত্রীর অনেকে বিনা টিকিটেই ট্রেনে উঠে পড়ায় আসন পাওয়া অন্য যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন।
পাবনা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মোস্তফা আলী বলেন, প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ যাত্রী এই স্টেশনে টিকিট নিতে আসেন। বিপরীতে মাত্র ৪৭ আসনের টিকিট নিয়ে কাউন্টার চালু রাখা কঠিন। মাঝেমধ্যেই যাত্রীদের তোপের মুখে পড়তে হয়।
রেলের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, মেরামতে দেওয়া বগিটি কবে ফেরত আসবে, তার ঠিক নেই। নতুন বগি বরাদ্দ না হলে এ সমস্যা থেকেই যাবে।