বগুড়ায় চাল মজুত করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ার শেরপুরে চাল মজুত করায় দুই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মজুত করা চাল আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী তিন দিনের মধ্যে বাজারে সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের জোয়ানপুর এলাকায় শিনু অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে ১ হাজার ২৪৬ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার ১৪৬ মেট্রিকটন ধান ও শহরের সকাল বাজার এলাকায় গৌড় গৌরাঙ্গ ভান্ডার থেকে ১০০ মেট্রিকটন অতিরিক্ত চালের মজুত পাওয়া যায়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সেখানে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন-এ-কাইয়ুম ও শেরপুর থানা-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, শিনু অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে অভিযানে ১ হাজার ২৪৬ মেট্রিকটন চাল ও ২ হাজার ১৪৬ মেট্রিকটন ধানের মজুত পাওয়া যায়। তবে চালগুলো এসিআই ফুডস লিমিটেডের লেবেলযুক্ত নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা ছিল। এসব চাল গত মার্চ থেকে মজুত করা ছিল বলে সংশ্লিষ্ট মিল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে সকাল বাজারের গৌড় গৌরাঙ্গ ভান্ডারের লাইসেন্সের বিপরীতে ১০০ মেট্রিকটন অতিরিক্ত চালের মজুত পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রদীপ সাহাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শিনু অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের শেখ সোহান বলেন, ‘মিল ও মজুতের লাইসেন্স আমাদের নামে থাকলেও এসিআই ফুডস লিমিটেডের কাছে মিল ও গুদামঘর কয়েক বছর আগে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এসব ধান ও চাল তাদের, আমাদের নয়।’
এ বিষয়ে এসিআই ফুডস লিমিটেড শেরপুরের সিনিয়র অপারেশন অফিসার বদরুল ইসলাম বলেন, নওগাঁর মহাদেবপুরের লাইসেন্সে তাঁরা শেরপুরে ব্যবসা পরিচলনা করে আসছেন। তাঁরা বিভিন্ন জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করে শেরপুরে জমা করেন। এরপর সেগুলো ধান থেকে চাল সংগ্রহ করে সারা দেশে সরবরাহ করে থাকেন।
এ নিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন-এ-কাইয়ুম বলেন, একস্থানের লাইসেন্স নিয়ে অন্য জায়গায় ব্যবসা করা সুযোগ নেই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন বলেন, ওই দুই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণে চাল ও ধানের মজুত পাওয়া গেছে। আইন অমান্য করায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। মজুত করা চাল আগামী তিন দিনের দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন দিন কী পরিমাণ চাল সরবরাহ করা হয়েছে, তা প্রশাসনকে লিখিত জানাতে বলা হয়েছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।