বগুড়ায় বিপন্ন প্রজাতির ৩৫টি সন্ধি কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বগুড়া শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকা থেকে এসব কাছিম উদ্ধার করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা। এ সময় বিক্রয়নিষিদ্ধ এসব কাছিম কেনাবেচায় জড়িত থাকার অপরাধে আটক করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। আটক ব্যক্তিরা হলেন রফিকুল ইসলাম ও গোবিন্দ চন্দ্র রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম ও গোবিন্দ চন্দ্র রায় দুজনই অবৈধভাবে কাছিম পাচার ও কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। আটক সন্ধি প্রজাতির কাছিম তাঁরা নোয়াখালী, ভৈরব ও মুন্সিগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করে বগুড়ায় এনে বিক্রি করতেন।
বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্য প্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বগুড়ার যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ও ফরেনসিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য এসেছিলেন। আজ সকালে তিনমাথা এলাকার একটি মাছের আড়তে বস্তাভর্তি বিপন্নপ্রায় সন্ধি প্রজাতির ৩৫টি কাছিম কেনাবেচার কারবারের বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁরা এর সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক এবং ৩৫টি কাছিম উদ্ধার করে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নেন। পরে আটক ব্যক্তিদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দিয়ে উদ্ধার হওয়া কাছিম সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ (তীর) সদস্যদের সহযোগিতায় স্থানীয় জলাশয়ে উন্মুক্ত করা হয়।
অসীম মল্লিক আরও বলেন, বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) ২০১২ আইন অনুযায়ী কাছিম ধরা, শিকার করা, পাচার করা, ক্রয়–বিক্রয় ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তিনি বলেন, বগুড়ায় উদ্ধার হওয়া কাছিম বিপন্ন সন্ধি প্রজাতির। এর ইংরেজি নাম Indian flapshell turtle। একসময় এটি দেশের জলাশয়গুলোতে প্রচুর দেখা গেলেও বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। ক্রমাগত শিকারের কারণে এটি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।