মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ মে সন্ধ্যায় উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক তরুণী (২১) ব্যাটারিচালিত ভ্যানে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। এলাকার চার যুবক ভ্যানের অপর এক যাত্রীসহ তাঁকে রাস্তা থেকে নামিয়ে নেন। এরপর তাঁকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটি চিৎকার দিলে ওই চার যুবক তাঁকে ‘চরিত্রহীন’ অপবাদ দিয়ে গ্রামের একটি আমগাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। সঙ্গে ভ্যানের অপরিচিত যাত্রীকেও বাঁধা হয়।
পরে তাঁরা প্রচার চালান ওই তরুণী এই ছেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের উদ্দেশ্যে বদরগঞ্জ যাচ্ছিলেন। এই অভিযোগে তাঁরা মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে পেটান। মেয়েটিকে উদ্ধারে তাঁর মা এগিয়ে এলে তাঁকেও গাছে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে তাঁর বাবা সেখানে গেলে তাঁকেও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে গভীর রাতে তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিজবাড়িতে পৌঁছে দেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী।
ঘটনার পরদিন ওই গ্রাম পুলিশসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও মঙ্গলবার রাতে তা নথিভুক্ত করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দুই দিনে চারজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আলম সিদ্দিক। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলমান।