বরগুনায় কোটি টাকার মালামালসহ ট্রলারডুবি
বরগুনার তালতলীতে পায়রা নদীর মোহনায় মালবাহী একটি ট্রলার ডুবে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে তালতলী উপজেলার পায়রা নদীর মোহনায় ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বেলা একটার দিকে জেলা সদর বরগুনার ঘাট থেকে তালতলীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে একটি পণ্যবাহী ট্রলার। ট্রলারটি রাত আটটার দিকে তালতলী উপজেলার দিকে যাওয়ার পথে পায়রা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা ডুবোচরে ধাক্কা লাগে। ট্রলারটি এক পাশে কাত হয়ে নদীতে ডুবে যায়। ট্রলারে বিভিন্ন বাজারের ২৫-৩০ ব্যবসায়ীর প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল ছিল। এসব মালামাল পানিতে ভেসে গেছে। ট্রলারে থাকা চার কর্মচারী সাঁতার কেটে তীরে ওঠেন। শাড়ি-লুঙ্গির বান্ডিল, সুতার বান্ডিল, ওষুধের কার্টন, মুদিমাল উদ্ধার করা গেলেও চাল, ডাল, তেলসহ দামি মালামাল পানিতে ডুবে যায়। এ ট্রলারে একেকজন ব্যবসায়ীয় তিন থেকে চার লাখ টাকার মালামাল ছিল।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ছোট আয়তনের ট্রলারটিতে মাত্রাতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করাতে এবং সহকারী দিয়ে ট্রলার চালানোর কারণে ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
ট্রলারের মালিক জামাল মাঝি বলেন, ‘বরগুনা থেকে সাপ্তাহিক মালামাল নিয়ে তালতলীতে রওনা দিই। পরে পায়রা নদীর মোহনায় থেকে খালে ঢোকার সময় ডুবোচরে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়। তবে ট্রলারে থাকা কর্মচারীরা সাঁতার কেটে কিনারে আসেন।’ তাঁর দাবি, দক্ষ চালকই ট্রলারটি চালাচ্ছিলেন।
ব্যবসায়ী মজনু বলেন, ‘আমার চাল ও চিনি ছিল ২০০ বস্তা। সব মিলিয়ে ছয় লাখ টাকার মালামালসহ ট্রলারটি নদীর মোহনায় ডুবে যায়। ট্রলারটি আয়তনে ছোট, কিন্তু অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করে নিয়ে আসাতে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ট্রলারে তালতলীর প্রায় ২৫-৩০ ব্যবসায়ীর বিভিন্ন মালামাল ছিল। এ ব্যবসায়ীদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
তালতলী ফায়ার সার্ভিস কমান্ডার আক্তার উদ্দিন বলেন, ট্রলারডুবিতে তাঁদের কিছু করার নেই। যদি লোক নিখোঁজ থাকতেন, তাহলে ফায়ার সার্ভিস খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করত। এ ছাড়া এখানে ট্রলার উদ্ধার করার কোনো যন্ত্র নেই।