বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২০, শনাক্ত ৮২২

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২০ জন। এর মধ্যে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ২ হাজার ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ওই সময়ে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যান ১৮ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ২১ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫০ থেকে ২৭৪–এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ঈদের কারণে নমুনা সংগ্রহ কম হওয়ায় শনাক্তও কম ছিল। তবে গত তিন দিনে এই সংখ্যা আবারও বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৮৪১ জনের মধ্যে বরিশাল জেলার সর্বোচ্চ ২৯৩ জন। পটুয়াখালীতে ১১৭, ভোলায় ১২০, পিরোজপুরে ১৩৫, বরগুনায় ৮৮ ও ঝালকাঠিতে ৬৯ জন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে ৪ জনই পিরোজপুর জেলার। এ ছাড়া বরগুনা ও পটুয়াখালীতে দুজন করে ও ঝালকাঠিতে একজন মারা যান। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩৭ জন।

করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় মারা যান ১১ জন। তাঁরা সবাই বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এই হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে ৭৪৫ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোগী মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৮৮।

শনাক্ত ও মৃত্যুহার বেশি ভোলা-বরগুনায়
গত মে মাসের মাঝামাঝিতে বিভাগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি জেলায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি থাকলেও বাকি তিন জেলায় অনেক কম ছিল।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ভোলায় সংক্রমণ হার ছিল বিভাগের সর্বোচ্চ, ৪২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মৃত্যুহার বেশি বরগুনায়, ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

বিভাগের সব জেলা মিলিয়ে গড় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। জেলাভিত্তিক শনাক্তের হারের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বরগুনা। এই জেলায় ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছে ৮৮ জনের। হার ৪১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এরপরে আছে বরিশাল। এই জেলায় ৭৪০ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছে ২৯৩ জনের, শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বরিশাল বিভাগে জুলাইয়ের প্রথম থেকেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। ঈদে অনেক মানুষ গ্রামে ফেরার পর তাঁদের বেশির ভাগই গ্রামে আছেন। এ জন্য উদ্বেগটা এবার আরও বেশি। তাই সামনের এক সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।