বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬১১

করোনা পরীক্ষা
ফাইল ছবি

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে ১ হাজার ৭২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় বিভাগে ৬১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে ২ হাজার ৯৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৮৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মারা যান ১২ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বরিশাল বিভাগে করোনার প্রথম ঢেউ শুরু হয় গত বছরের ৯ এপ্রিল। প্রথম ঢেউয়ের সময় বিভাগে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা ছিল গত বছরের জুনে, ২৪৩। এবার মে মাসে দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ৭ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ৬২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এরপর ১১ জুলাই তা ৭১০ এবং ১৩ জুলাই তা ৮৭৯ জনে পৌঁছায়। ১৯ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ৮৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন শনাক্ত হওয়া ৬১১ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২৬৩ নিয়ে মোট ১১ হাজার ৬৫৭, পটুয়াখালীতে নতুন ৬৩ নিয়ে মোট ৩ হাজার ৩৯২, ভোলায় নতুন ৬৪সহ মোট ২ হাজার ৭১২, পিরোজপুরে নতুন ৬৩সহ মোট ৩ হাজার ৭৬৭, বরগুনায় নতুন ৭৯ নিয়ে মোট ২ হাজার ৩৭১, ঝালকাঠিতে নতুন ৭৯ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৯০। এ নিয়ে বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৩৮৯। আর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯৩ জনের।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরিশাল বিভাগে জুলাইয়ের প্রথম থেকেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চলছে। এখন আমাদের শঙ্কা, ঈদে প্রচুর লোকসমাগম নিয়ে। কারণ, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চে-বাসে করে প্রচুর লোক গ্রামে ফিরেছেন এবং এখনো ফিরছেন। গ্রামে ফিরে তাঁরা পরিবার ও হাটবাজারে সবার সঙ্গে অবাধে মিশছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আর সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় সংক্রমণ খুব একটা গ্রামে ছড়ায়নি। কিন্তু এবার তা গ্রামেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।’