বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু ৪৩ সাঁতারুর
বঙ্গোপসাগরে ফরচুন বাংলা চ্যানেল ১৫তম সাঁতার-২০২০ আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে শুরু হয়েছে। এবার সর্বোচ্চ ৪৩ সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। আজ সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ্ পরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সাঁতার শুরু হয়। এই টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের স্রোতধারাটির নাম বাংলা চ্যানেল।
বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেলের ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার পথ সাঁতরে সাঁতারুদের পৌঁছাতে হবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জেটিতে। ১৫তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা।
গত মার্চে এই সাঁতার আয়োজনের কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এ আয়োজন করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে একটি করে উদ্ধারকারী নৌকা রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্ভিস বোট, জরুরি নৌকা ও ডুবুরিরা আছেন।
এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারে বেশ কিছু রেকর্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৬৮ বছর বয়সী সাঁতারু ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য এই সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন। সফল হলে তিনিই হবেন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সবচেয়ে বয়স্ক সাঁতারু। এখন পর্যন্ত এ রেকর্ডের অধিকারী ঢাকার সাঁতারু মিজানুর রহমান। তিনি ২০১৯ সালে ৬৭ বছর বয়সে এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন। এবার তিনি অংশ নিচ্ছেন না।
২০০৬ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত টানা ১৪ বার এই চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার। এবারে পাড়ি দিলে টানা ১৫ বারের রেকর্ড করবেন তিনি। এবারের ৪৩ সাঁতারুর মধ্যে ১ জন বিদেশি, ২ জন নারী ও ২ জন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন। গত বছর ৩১ সাঁতারু বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন।
এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের সহ-আয়োজক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও পর্যটন বোর্ড, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ফরচুন গ্রুপ, পৃষ্ঠপোষক ভিসা থিং ও এনসিসি ব্যাংক, অংশীদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টুডিও ঢাকা ও ষড়জ এবং রেসকিউ পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
অ্যাডভেঞ্চার গুরুখ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবীর ও সালমান সাঈদ।