বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি, দর্শকে পূর্ণ মিলনায়তনে ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’
বৈশাখের সন্ধ্যা। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি। এর মধ্যে দর্শকে পূর্ণ মিলনায়তন। মঞ্চে তখন মৃদু আলো। ঘোষণা এল অনুষ্ঠান শুরুর। এরপরই যুগলকণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ গানটির দ্বৈত আবৃত্তি। এমনই আবহে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাবনার বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘আনন্দ ধারা’।
বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন জেলা শহরের বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। বৃষ্টিসন্ধ্যায় এমন আয়োজনে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন দর্শকেরা। আবৃত্তির পরই ‘ইনিবিনি টাপাটিনি’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যশিল্পী ঝরা ও বাপ্পি। এরপর ‘এ কী সোনার আলোয়’ গানটি গেয়ে শোনান মৃত্তিকা বিশ্বাস। এ গানেই মেতে ওঠে পুরো মিলনায়তন। করতালি আর বৃষ্টির শব্দে মুখর হয় চারপাশ।
এরপর সমীর মজুমদার, নুজাতই নুর ও আল আমিন হোসেন পরপর তিনটি গান গেয়ে শোনান। মাঝখানে আবার নৃত্য। এরপর আবার গান। গেয়ে শোনান শিল্পী বিনিতা ভদ্রা, আরমান বিশ্বাস, আফ্রিদা আলম, সাদিয়া আরেফিন, কৃষ্ণলাল কর্মকার ও রেজওয়ান শাহরিয়ার। গানের ফাঁকে ফাঁকে আবৃত্তি করে শোনান মাজেদা পারভিন ও হাবিবুল্লাহ জোয়ার্দার।
গান, আবৃত্তি ও নৃত্যে বৃষ্টিসন্ধ্যাটি উপভোগ করেন জেলা শহরের সংস্কৃতিপ্রেমীরা। মুগ্ধতা নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। দর্শকসারিতে বসে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন জেলার প্রবীণ শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, বৃষ্টিদিনের অলস সময়ে এই আয়োজন সত্যি মুগ্ধকর।
একই রকম অনুভূতির কথা জানান পাবনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, বৃষ্টির দিনে এমন আয়োজন প্রাণজুড়ানো। সারা দিনের অলস সময়ের যে মানসিক ক্লান্তি, সন্ধ্যায় সেটা দূর হলো।