বাউফলে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ

হামলার ঘটনায় আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মহসীন
ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম মহসীনের ওপর প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে উপজেলার রামনগর তাঁতেরকাঠি গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এস এম মহসীন এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে সকাল ১০টার দিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ।

বাউফল প্রেসক্লাবে হওয়া এই সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মহসীন বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুক নির্বাচরণী আচরণবিধি মানছেন না। তাঁর লোকজন প্রায়ই ২০-৫০টি মোটরসাইকেলের নিয়ে মহড়া দেন। তাঁদের প্রকাশ্য ঘোষণা, নির্বাচনে তাঁকে মাঠে থাকতে দেবেন না। তিনি বলেন, ‘তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচনের তিন দিন আগে বহিরাগতদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র এলাকা দখল করে নেবেন। আমাকে কোনো এজেন্ট দিতে দেবেন না, নির্বাচনের দিন সরাসরি নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে। এতে আমার কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররা ভোট গ্রহণ নিয়ে শঙ্কিত।’

সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোটদানের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের জেলা শহর থেকে নিয়োগ দেওয়াসহ নির্বাচনের অন্তত তিন দিন আগে থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র এলাকায় দুজন করে ম্যাজিস্ট্রেট, পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এস এম মহসীনের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আইনজীবী মো. এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘এটা কেমন গণতন্ত্র? আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী নির্বাচন করলে তাঁর ওপর হামলা হবে? এ নিয়ে আমি শঙ্কিত।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এস এম মহসীনের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ওই হামলার ঘটনার জেরে আরও একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়ও মামলা হয়েছে এবং দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।